সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব আজ (মঙ্গলবার, ৭ মার্চ)। বাংলাদেশে এই উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’, ‘দোল পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ উদযাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব দোল পূর্ণিমা বা দোলযাত্রা। পরস্পরকে আবির মাখিয়ে দিনটিকে পালন করছেন তারা। এ দিন সব ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
দোল পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পূজা, হোমযজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় আচার পালিত হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, এই দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা ও তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই এই দোল খেলার উৎপত্তি।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও অন্য ধর্মের মানুষও এ উৎসবে অংশ নেয়। শিশু-কিশোররাও মেতে ওঠে এই উৎসবে। একে অন্যকে রং মাখিয়ে মেতে ওঠে উৎসব বরণে।
দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এ দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন।
বিশ্বের অনেক স্থানে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে বেশি পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। কোনো কোনো স্থানে এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’।