আরেক স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাথরবিহীন রেললাইনে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আজ।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে মাওয়া স্টেশনে নামবেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে মাওয়া প্রান্তে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলবেন তিনি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সকাল ৮ টায় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্র্যাক কারে জুরাইন পর্যন্ত মন্ত্রী রেললাইন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করবেন। পরে সড়কপথে বুড়িগঙ্গা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন এবং ধলেশ্বরী সেতু পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করে সড়কপথে ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন। সেখান থেকে পদ্মাসেতু রেলপথ পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে দুপুর ১২ টার দিকে ট্র্যাক কারে চড়বেন। এ সময় তার সঙ্গে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীসহ রেল প্রকল্পের পরিচালক, ঠিকাদার ও অন্যরা যোগ দেবেন। মাওয়া স্টেশনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরবেন।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন গতকাল সোমবার বলেন, পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের জন্য সোমবার ভাঙ্গা স্টেশন থেকে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪১.৫ কিলোমিটার রেলপথ তারা ঘুরে দেখেছেন। এটি রেল চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী জুনের মধ্যে অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত হবে।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ বিগ্রেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, সেতুতে ট্রেন চলাচলের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মন্ত্রীর আগমণ ঘিরে মাওয়া রেল স্টেশন প্রান্তে ব্রিফিং ভেনুসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, দেশে প্রথমবারের মতো সর্ববৃহৎ রেলব্রিজ মুভমেন্ট জয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে পদ্মার রেলসেতুতে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিন ভাগে-ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ করছে চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। কাজটি তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি)।