আফ্রিকায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ইবোলার মতো মারাত্মক সংক্রমক মারবার্গ ভাইরাস।
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সম্প্রতি গিনি এবং তানজানিয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া সমস্ত ভ্রমণকারীদের প্রাণঘাতী এই ভাইরাস এড়াতে প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও ভাইরাসের বিস্তার রোধে সহায়তা করার জন্য সেখানে কর্মী পাঠাচ্ছে তারা।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, মারবার্গ ভাইরাস একটি প্রাণঘাতী মহামারী এবং সংক্রামক ভাইরাস। তারা এই ভাইরাস সংক্রান্ত ২০টি কেস রেকর্ড করেছে এবং প্রতিটি কেসেই আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র মতে, মারবার্গ ভাইরাস ডিজিজ একটি মারাত্মক রোগ যা আক্রান্তের দেহে রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত। এটি ফিলোভাইরাস পরিবারের একটি অংশ, এই পরিবারে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ইবোলা ভাইরাসও অন্তর্ভুক্ত আছে।
মারবার্গ ভাইরাসের প্রাকৃতিক বাহক হল আফ্রিকান বিভিন্নও ফল খাওয়া বাদুড়, যা ভাইরাস বহন করে কিন্তু এর থেকে অসুস্থ হয় না। বাদুড় ছাড়াও অন্যান্য সংক্রমিত প্রাণী মারবার্গ ভাইরাস বহন করতে পারে। অতিরিক্ত জ্বর, শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক অংশে রক্তপাত এবং তীব্র মাথাব্যথা হল এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।
মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে অন্য যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত উপকরণের সংস্পর্শে এসে যে কেউই আক্রান্ত হতে পারে। মারবার্গ ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো নিরাময় বা ভ্যাকসিন নেই, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রাথমিক পর্যায়ের ভ্যাকসিন আবিস্কারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।