রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাজধানীর হাইকোর্ট চত্বরের জাতীয় ঈদগাহে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কূটনৈতিকবৃন্দ এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন।
নামাজ শেষে বাংলাদেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণ তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
মোনাজাতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশেষ করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ ও জনগণের স্বার্থে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহিদদের চিরশান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বিপদগামী সেনাবাহিনীর একদল সেনা কর্মকর্তার নির্মম বুলেটে শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি, বিশেষ করে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমত ও গায়েবি সাহায্য কামনা করা হয়।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন নামাজ শেষে ঈদগাহে মুসুল্লিদের সঙ্গে সংক্ষিপ্তভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ঈদের এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারো জাতীয় ঈদগাহে নারীদের জন্য ঈদের নামাজ আদায়ের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদের এই জামাত ঘিরে নামাজের মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এরআগে রাষ্ট্রপ্রধান জাতীয় ঈদগাহে পৌঁছলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং ডিএনসিসি’র মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসসহ সংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।