ঢাকা, সোমবার - ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর্ণফুলী টানেলে ব্যয় বাড়ল ৩১৫ কোটি

ছবিঃ সংগৃহীত

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খরচ আবারও বাড়ছে। এবার বাড়ছে ৩১৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ছে। এর মধ্যে আবার ঠিকাদারের বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন আমদানি খাতে খরচ বাড়ছে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দ্বিতীয়বারের মতো প্রকল্পটি সংশোধনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

ফলে সব মিলিয়ে এখন এই প্রকল্পে খরচ হবে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি শেষ করার জন্য এর আগে সময় দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল সেতু কর্তৃপক্ষ।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেনবিশিষ্ট এই টানেল নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় শেষের দিকে প্রকল্পটি। শিগগির যান চলাচলের জন্য টানেল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কর্ণফুলী টানেলসহ একনেক সভায় সব মিলিয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো চট্টগ্রামের পটিয়ার শ্রীমাই নদে বাঁধ নির্মাণ, বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাসকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষায় প্রকল্প, মাতারবাড়ী কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (সওজ অংশ), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ, বাংলাদেশের ২৪টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্প ও ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট ফেজ-২ (খুলনা) প্রকল্প।
বঙ্গবন্ধু টানেলে ব্যয় বাড়ল ৩১৫ কোটি
এদিকে গত কয়েক মাসে ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১০৬ টাকা হয়েছে। সে কারণে এই প্রকল্পের খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া আসবাব কেনা, শুল্ক-কর বৃদ্ধির কারণেও খরচ বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে।২০১৫ সালে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি যখন পাস হয়, তখন এই প্রকল্পের খরচ ছিল আট হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। তখন এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম দফা সংশোধন করে খরচ ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। মেয়াদ বেড়ে যায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখন আবার খরচ বাড়ানো হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থ দিচ্ছে।

আরও পড়ুন  বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকি প্রমুখ।

ট্যাগঃ