বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমকে (বীরপ্রতীক) দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সৈয়দ ইবরাহিমসহ আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মো. ইবরাহিম, বীরপ্রতীক নির্বাহী কমিটির অধিকাংশের মতামতকে তোয়াক্কা না করে অফিস নোটিশ ব্যতীত ১৩১ জনের নির্বাহী কমিটির গোপন বৈঠকে বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা চেতনার বিপরীতে দলীয় আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ ও অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দিতে কথিত যুক্তফ্রন্ট নামীয় নির্বাচনী জোটে যোগদান করেছেন। যে কারণে নির্বাহী কমিটির দুই তৃতীয়াংশ সদস্য বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-২০, উপধারা-ঙ এর অনুচ্ছেদ-১ অনুযায়ী একাধিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এতে বলা হয়, অধিকাংশ সদস্য বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন পারভেজকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ করেন। অনুরোধ গ্রহণ করে শামছুদ্দিন পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় সরকার বিরোধী আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে পার্টির নিবেদিত প্রাণ নির্বাহী কমিটির সদস্যগণের সমন্বয়ে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, পুনর্গঠিত নির্বাহী কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে দলীয় নীতি নৈতিকতা ও আদর্শকে উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত লোভ ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য যুক্তফ্রন্ট গঠন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে পার্টির সাবেক চেয়ারম্যানকে প্ররোচিত করায় পার্টির সাবেক মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবকে পার্টি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
৪১ সদস্য বিশিষ্ট কল্যাণ পার্টির নতুন কমিটিতে পাঁচজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন অতিরিক্ত মহাসচিব, আটজন যুগ্ম মহাসচিব, ছয়জন সহকারী মহাসচিব ও ১৯ জন সদস্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি নির্বাচনে যাওয়ার কারণে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এটি জীবনেরই অংশ। তা মেনে চলতে হবে। জানি না কারা এই ষড়যন্ত্র করেছে। তবে যারা এ কাজ করেছে প্রথমত তাদের শুভেচ্ছা জানাই। দ্বিতীয়তঃ তাদের বলবো দলের গঠনতন্ত্র ভালো করে পড়ার জন্য।