অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কর্মকাণ্ড দেখে বোঝা যায় তাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে। আন্দোলনকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকোলে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই আন্দোলনটা সম্পূর্ণ অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি আদেশে বলে দিয়েছেন, তাদের (আন্দোলনকারীদের) বক্তব্য থাকলে আদালতে আসতে পারেন। তারা কিন্তু আসছে না। আমি একটি টকশোতে অনুরোধ করেছি (আন্দোলনকারীদের) কোনো একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলেন। তারা বলছে, প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে সরকার এটা (কোটা বাতিল কিংবা সংস্কার) করে দিতে পারে। যারা এটা বলছেন এবং তাদের (আন্দোলকারীদের) যারা বুদ্ধিদাতা, হয় তারা আইন জানেন না, নয় তারা তাদের ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য এই কথাগুলো বলছেন। তাদের (আন্দোলনকারীদের বুদ্ধিদাতারা) রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। তারা চাইছে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা।
এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, যেহেতু আদালত আদেশ দিয়ে বাতিল (কোটা বাতিলের পরিপত্র) করে দিয়েছেন, সেখানে সরকার আরেকটা আদেশ দিয়ে কোটা বাতিল করতে পারে না। করলেও সেটা সাথে সাথে বাতিল হয়ে যাবে। তাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে চূড়ান্ত আদেশ পাওয়ার পর যেটা করার সেটা করতে হবে। তার আগে পারবে না। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য যদি কোটা বাতিলই হতো, তাহলে সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট যেটা বলে দেবে সেটা তো কেউ আর পরিবর্তন করতে পারবে না। সুতরাং আমি বলব, প্রথমে ছাত্ররা (আন্দোলনকারী) একটা দাবি নিয়ে আসছিল। পরে তাদের পেছন থেকে ইন্ধন দিচ্ছে, বুদ্ধি দিচ্ছে। যারা বুদ্ধি দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য অন্যকিছু। ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এটা তারা করছে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?
প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রবিবার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।