নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত থাকায় জেলের বাইরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
এক প্রশ্নে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কেন উনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করতে পারবেন না? উনি জেলে থেকেও রাজনীতি করতে পারবেন, দলকে নির্দেশনা দেবেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচনী আইনে যা আছে, তাই মানতে হবে। এখানে সরকার বা নির্বাচন কমিশনসহ কারো কিছু করার নেই।
গণতান্ত্রিক দেশ, তিনি একটা দলের একজন রাজনৈতিক নেতা, দুবারের প্রধানমন্ত্রী। কেন তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না? রাজনীতিবিদ তো রাজনীতিবিদই, রাজনীতি উনি করতে পারবেন, বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
এ সরকারের অধীনে ‘ফোরটুয়েন্টি মার্কা’ নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্ত্যব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মান্না কেন, সেটা আরও বড় বড় নেতারাও বলেছেন। মান্নার পার্টি তো খুবই ছোট। এই পার্টি কী বলছে সেটা নিয়ে আমরা এতটা মাথা ঘামাচ্ছি না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।
প্রধানমন্ত্রী আছেন, নির্বাচন পর্যন্ত থাকবেন। নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট না দেয় আমরা স্যালুট দিয়ে চলে যাবো। কিন্তু নির্বাচন হবে, সময়ের মধ্যেই হবে। সংবিধানের বাইরে কারও কিছু করার সুযোগ নেই যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আম নেবে। এ ছাড়া শাকসবজি এবং অন্যান্য ফলও নেবে। এখন জাপানে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য যায় না। পণ্য নিরাপদ হতে হবে, মান নিশ্চিত করতে হবে। সেগুলো নিয়ে দুদেশ কাজ করছে। আমের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
বাংলাদেশ জাপান থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাচ্ছি জাপানি কোম্পানিগুলো যেন বাংলাদেশে তাদের কারখানা করে। এরই মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার এসিআইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশে কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার, ট্রান্সপ্ল্যান্টানের কারখানা করছে, খুব তাড়াতাড়ি এটি শুরু করবে।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, কৃষিখাতে জাপান-বাংলাদেশের সহযোগিতা আরও বাড়াতে চাই। সেজন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চাচ্ছি, যাতে সহযোগিতার অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা যায়।