চট্টগ্রাম ও ফেনীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ছয়টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ ২৮ জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।
বুধবার রাতে ফেনী পৌরশহর ও চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফেনীর মো. রাব্বি, মো. তৌহিদুল ওরফে সাগর ও মো. ফখরুল এবং চট্টগ্রাম নগরের মো. রাকিব উদ্দিন তামিম, মো. আহাদ আলীফ, গোপাল ত্রিপুরা, আবরার হান্নান, মো. জুবাইরুল ইসলাম, সুব্রত বড়ুয়া, মো. হারুনুর রশিদ, মো. রবিউল আউয়াল রুবেল, মো. মুন্না, মেহেদী হাসান মুন্না, মো. মনির, মো. ফারহাদ, মো. আসিফ, মো. রাশেদ ওরফে রাসেল, মো. ইউসুফ, এমরান হোসেন বাবলু, মো. জামাল উদ্দিন, মো. সাখাওয়াত হোসেন শাকিল, মো. মনির উদ্দিন, মো. রকিবুল হোসেন ওরফে সাদ্দাম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আলাউদ্দিন, মো. মাসুদুর রহমান অপু, মো. রায়হান ও মো. জাকির হোসেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং কালচার সারাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও নাশকতা থেকে শুরু করে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। গত এক বছরে অসংখ্য কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে র্যাব। কিশোর গ্যাং নির্মূলে র্যাবের অভিযান ও নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে ফেনী পৌরশহরের মধ্যম রামপুর এবং চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী, বাকলিয়া ও পাহাড়তলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ ২৮ জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় -যোগ করেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও প্রভাব বিস্তারসহ নানা অপকর্মে জড়িত। অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে স্থানীয় একটি চক্রের মদদ রয়েছে। মূলত ‘হিরোইজম’ ও ‘বড়ভাই’ কালচার প্রকাশ করতে গিয়ে পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইউসুফ, এমরান হোসেন বাবলু, রকিবুল হোসেন ওরফে সাদ্দাম, আলাউদ্দিন, রায়হান ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।