গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি পাঁচতলা ভবনের ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। তারপর ওই ভবনের ছাদে উঠে আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকর্মীদের ছাদ থেকে ফেলে দেন।
রবিবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৫টায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি’র নৈরাজ্যের সময় বিল্ডিংয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতাদের দেখতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জামায়াত-বিএনপি’র হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- জালাল উদ্দীন জোবায়ের, মো: ইকবাল, মো: সোহেল।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আহত ছাত্রলীগ নেতাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় একটি ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রলীগের কর্মীদের ফেলে দেওয়ার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এতে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। গতকাল রবিবার পাঁচলাইশ থানায় এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পিআর) কাজী মো. তারেক আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।