কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশ চলার সময় মঞ্চের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে মারামারিতে জড়িয়েছে দলটির দুটি পক্ষ। এসময় দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা মঞ্চে ছিলেন। নেতারা নিবৃত করার চেষ্টা করলেও দুটি পক্ষকে থামানো যাচ্ছিল না। পরে নেতারা এসে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেন।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি ও গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে নগরীর কাজীর দেউড়ির অদূরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় সমাবেশ।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে পৌনে ৩টার দিকে একটি পক্ষ মিছিল নিয়ে এসে সরাসরি মঞ্চের সামনে চলে যায়। সেটি দেখে পেছন থেকে আরেকটি পক্ষ তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দুই পক্ষ ব্যানার-ফেস্টুন বেঁধে আনা লাঠি খুলে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু ২০-২৫ মিনিট যেতেই আবারও দ্বিতীয় দফায় দুপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য নেতা-কর্মীরা এক পক্ষকে কাজির দেউড়ির দিকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যারা হালালভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন, বিশেষ করে শ্রমিক, কৃষক, নিম্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী- তারা কেউ ভালো নেই। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। যদি জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক থাকত তাহলে এভাবে দাম বাড়াতে পারত না। সরকার জনমুখী না। তারা ভোট চুরিতে ব্যস্ত। এভাবে আরেকবার তারা ভোট চুরি করতে চায়। আমরা তা হতে দেব না। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে চলবে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে পদযাত্রা করব। দেখি সরকার কীভাবে বাধা দেয়।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকারসহ অন্যরা।