ঢাকা, শুক্রবার - ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আলোচিত সংবাদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবিঃ সংগৃহীত

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর সাথে একাত্বতা পোষণ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের তিনদিনের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। এছাড়া বিভাগটির মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা হুমকিদাতাদের বিচারের আওতায় নিয়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী মারজান আক্তারকে তার পেশাগত দায়িত্বপালনকালে ‘তোর নিরাপত্তা কে দেয় দেখব’ মর্মে হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকিদাতারা এখনো ক্যাম্পাসেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে তাকে হুমকিদাতারা যেকোনো সময় যেকোনো কিছু করে ফেলতে পারে। এমতাবস্থায় তাকে নিরাপত্তাহীনতায় রেখে আমরা ক্লাস করতে পারি না। তাই আমরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।

আরও পড়ুন  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাংবাদিক স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং নানা সমস্যা ও অনিয়মগুলোকে তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু ক্যাম্পাসের একজন নারী সাংবাদিক যদি তার কাজ করতে গিয়ে এ ধরনের বাধার সম্মুখিন হয়, তাহলে এটা পুরো বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এজন্য আমি প্রশাসনের নিকট দাবি জানাব, এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন  চবির শাটল ট্রেনে নবজাতকের মরদেহ

চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সঙ্গী সাংবাদিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনার গল্পের পাশাপাশি সব অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরও উঠে আসে সাংবাদিকদের কলমে। পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করা মানে ক্যাম্পাসের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর টুটি চেপে ধরা। আমরা আজকের এই আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছি এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন  এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত রবিবার

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি রওশন আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা করিম, সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার আলী আর রাজী, সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম ও সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী।

ট্যাগঃ

আলোচিত সংবাদ