চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মধ্যরাতে দুই হলে তল্লাশি চালিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন সোহরাওয়ার্দী ও আলাওল হলে এ তল্লাশি চালায়। এ সময় দুই হল থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও কাউকে আটক করা হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই হলে তল্লাশি চালিয়েছি। আমাদের কাছে তথ্য ছিল, হলে বহিষ্কৃত ও বহিরাগত অনেকে অবস্থান করছে। তবে তল্লাশিতে আমরা তাদের কাউকে পাইনি।
তিনি বলেন, তল্লাশি চালিয়ে দুই হল থেকে দা, রামদা, ছুরি, রড, কাঁচের বোতল ও কয়েকবস্তা ভাঙা পাথর পেয়েছি। কাউকে আটক করা হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হলের রুম দখলকে কেন্দ্র করে এবং গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে অন্তঃকোন্দল চলছিল। গত ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে আল-আমিনের অনুসারীরা এ এফ রহমান হল ও আলাওল হল থেকে ফুল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হল প্রাঙ্গণে এলে দেলওয়ারের অনুসারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জাড়িয়ে পড়ে। এতে ১৫ জন আহত হয়।
সেই ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার বিকেলে আলাওল হল ও এএফ রহমান হলে অবস্থানরত বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এরপর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আহত হয় আরও চারজন।