ঢাকা, শুক্রবার - ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত-দাম এবং ওজন, না মানলে জেল-জরিমানা

ছবি- সংগৃহীত

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

চালের বস্তায় বর্ণনা বিষয়ে লেখা থাকতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের দাম লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের জেলা ও উপজেলাও উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও।

আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। চালের বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতি কাঠামো নির্মাণে আরেক ধাপ এগোলো খাদ্য মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সকল বিভাগীয় কমিশনার, সকল জেলা প্রশাসক, সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক-সহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন  রাষ্ট্রপতি সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন আজ

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন সই করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন  স্কুল-কলেজের সভাপতি হতে লাগবে এইচএসসি পাস

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালে বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কর্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদকারী মিলাররা গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।<div class="paragraphs"><p>খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে যা বলা হয়েছে।</p></div>চাল উৎপাদকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ করবেন। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।

আরও পড়ুন  ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের অঘোষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত

এই পরিপত্রের আলোকে সকল জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য পরিদর্শকরা পরিদর্শনকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩ এর ৬ ও ৭ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এই পরিপত্রের নির্দশনা আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে, বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ট্যাগঃ

আলোচিত সংবাদ