২০২৪-২০২৮ মেয়াদের জন্য কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের (সিএসডব্লিউ) সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (৫ এপ্রিল) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
বাংলাদেশ ছাড়াও বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা, মালি, রোমানিয়া, বলিভিয়া, ব্রাজিল ও কলম্বিয়া এ সংস্থায় সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
নির্বাচনে জয়লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘বাংলাদেশ লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের রোল মডেল। এ নির্বাচন লিঙ্গসমতা, নারীর অধিকার এবং ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ।’
বিগত এক দশকে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বে লিঙ্গবৈষম্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। লিঙ্গসমতা এবং নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ। কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের সদস্য হিসেবে নির্বাচন বিশ্বব্যাপী লিঙ্গসমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরা এবং অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো ভাগ করার নিমিত্ত একটি অনবদ্য প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে।
৪৫টি সদস্য নিয়ে গঠিত কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন হলো জাতিসংঘের প্রধান বৈশ্বিক আন্তঃসরকারি সংস্থা যা লিঙ্গসমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে।
স্থায়ী মিশন বলছে, প্রতি বছর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এ অঙ্গসংস্থাটির একটি দুই সপ্তাহব্যাপী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এর সদস্য রাষ্ট্র, সুশীলসমাজ এবং অন্য অংশীজনেরা বিশ্বব্যাপী লিঙ্গসমতা অর্জনের অগ্রগতি মূল্যায়ন, এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিতকরণ, বৈশ্বিক মান নির্ধারণ এবং বিশ্বব্যাপী লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একত্রে মিলিত হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ ২০১৯-২০২৩ মেয়াদে এ কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেছে।