ঢাকার সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে পৃথক দুই অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে সকালের মধ্যে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। দগ্ধ চারজনকেই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, এদিন ভোর ৪টার দিকে সাভারের সবুজবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় চুলা জ্বালাতে গিয়ে গ্যাস লিকেজে আগুনে দগ্ধ হন মোমিনুল ইসলাম (৪৫) নামে এক দিনমজুর। তার বাড়ি জামালপুর জেলায়।
এরপর সকাল ৬টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া আমতলা এলাকার আলী আহমেদের মালিকানাধীন বাড়িতে চুলা জ্বালাতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ হন একই পরিবারের মা-মেয়েসহ তিনজন।
তারা হলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ইয়াসমিন আক্তার (৪০), তার মেয়ে শ্রমিক শিমা আক্তার (২০) ও শিক্ষার্থী সুমা আক্তার (১২)। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে।
আমতলা এলাকার দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাড়ির ম্যানেজার আবু ইউসুফ জানান, বাসার একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন ইয়াসমিন ও তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে শিমা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। আর ছোট মেয়ে সুমা স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য ইয়াসমিন রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতে গেলে সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে।
ইউসুফ বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ থাকায় চুলা জ্বালাতে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সবুজবাগ এলাকায় দগ্ধের স্বজনরা জানান, ভোরে মোমিনুল চুলা জ্বালাতে গেলে লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে তার বুক ও পেটের অংশ পুড়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেয়া হয়।
তবে আশুলিয়া ও সাভার থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মালেকা বানু কিছু জানেন না বলে জানান।
সাভার ও ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ডিউটিরত সদস্যরাও এসব বিষয়ে জানেন না বলে জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজন দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। তাদের শরীরের ৫০ শতাংশ বার্ন হয়েছে। সবই মেজর বার্ন।