তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা শতাধিকছাড়িয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে মৃত্যুর এ তথ্য জানায়।
তুরস্কের কর্মকর্তারা এ পর্যন্ত ৫৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে সিরিয়ায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূ-কম্পনটির উৎপত্তিস্থলে গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার। তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নূরদাগি শহরের পূর্বাঞ্চল থেকে আঘাত হানে এটি।
তুরস্কের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলেও শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছে। মূল ভূ-মকম্পনটি আঘাত হানার প্রায় ১১ মিনিট পর আরেক দফায় আঘাত হানে ভূমিকম্প। ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী আফটারশক মূল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের প্রায় ৩২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে। ১৯ মিনিট পরে, ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি তীব্র আফটারশক অনুভূত হয়।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমন সোয়লু বলেছেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হলো- গাজিয়ানটেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালত্য, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।
ভূমিকম্পে অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের বিশাল স্তূপের নিচে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
ইস্তাম্বুলে থাকা আল-জাজিরার সিনেম কোসেওগ্লু বলেছেন, ভূমিকম্পটি তুরস্ক জুড়ে দক্ষিণ শহর থেকে কৃষ্ণ সাগর পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল। তিনি বলেন, গাজিয়ানটেপের মতো শহরগুলোতে তুর্কি নাগরিক ছাড়াও সিরিয়ার শরণার্থীরাও বসবাস করেন। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে।
গাজা উপত্যকায় বিবিসির একজন প্রযোজক রুশদি আবুলউফ বলেছেন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড কাঁপুনি ছিল।
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সানলিউরফা প্রদেশের গভর্নর সালিহ আয়হান টুইটারে বলেছেন, উদ্ধারকাজ চলছে এবং লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।