তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ হাজারের কাছাকাছি। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কে এ পর্যন্ত ২০ হাজার ২১৩ এবং সিরিয়ায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর আল-জাজিরা ও রয়টার্সের।
জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় গত সোমবারের ভূমিকম্পে অন্তত ৫৩ লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ার প্রায় ৯ লাখ মানুষের জরুরি গরম খাবারের সহায়তা প্রয়োজন।
এবারের ভূমিকম্প তুরস্কে ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যাকে (১৭ হাজার) অতিক্রম করে গেছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ নিজ নিজ দেশের দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এরদোয়ান স্বীকার করেছেন, সোমবারের ভূমিকম্পের পর সরকার আশানুরূপ দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করতে পারেনি।
এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলোয় উদ্ধারকর্মীরা নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে সিরিয়ার উদ্ধারকর্মীরা অনেক জায়গায় খালি হাতেই কাজ করছেন। ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনের বেশির ভাগই গৃহহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় এখন তাদের টিকে থাকাও একটা বড় যুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তুরস্কের দুর্গত কোনো কোনো এলাকায় রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাচ্ছে। আর যুদ্ধকবলিত সিরিয়ায় ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতিকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ বলে মন্তব্য করেছেন।