দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। লাবলু ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সংগঠনটির সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশীদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতা এ নিন্দা জানান।
ক্র্যাব নেতারা বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও চট্টগ্রামের আলোচিত জোড়া খুনের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর যে মামলা করেছেন, তা হয়রানির উদ্দেশ্যে করেছেন। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক লাবলুর বিরুদ্ধে গত বুধবার চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগকারী একজন সহজ-সরল, শান্তিপ্রিয় এবং দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি। তিনি একজন ব্যবসায়ী, সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী। তিনি চট্টগ্রাম শহরের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সমাজসেবক। পাশাপাশি বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদকসহ নানা পদে থাকার সময় সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন। দেশে করোনাকালীন তিনি প্রথম করোনা প্রতিরোধক বুথ চালু করেন এবং দেশব্যাপী করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপনপূর্বক বিনামূল্যে মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং অক্সিজেনসহ বিভিন্ন চিকিৎসাসামগ্রী ও বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে সর্বমহলে প্রশংসিত হন। আসামি বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করে আসছিলেন এবং টাকা না দিলে ভুয়া সংবাদ প্রচার করার অভিযোগও তোলা হয় মামলায়।
মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, হেলাল আকবর বাবর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাহবুব সম্প্রতি ‘দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট, শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন লিখেন। প্রতিবেদনটি তিনি ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করেন। প্রতিবেদনে হেলাল আকবরকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে উল্লেখ করা হয়।