পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নে শত বছরের প্রাচীন বুড়া কালী মন্দিরে চুরি হওয়া বেশকিছু স্বর্ণালংকার পরিত্যক্ত অবস্থায় স্থানীয় একটি পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ধলঘাটের নন্দরখিল এলাকার আজাদ ক্লাবের পাশে একটি পুকুর পাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল ওইসব স্বর্ণালংকার।
মন্দিরের পুরোহিত সাগর চক্রবর্তী বলেন, স্থানীয় এক যুবকের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব স্বর্ণালংকার পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করে। দেখে মনে হচ্ছে এগুলো কেউ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় কুমার ঘোষ জানান, উদ্ধারকৃত অলংকারের মধ্যে কিছু স্বর্ণ ও কিছু রূপা রয়েছে। তবে এখনো সব সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের একদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, কিছু অলঙ্কার পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ সেগুলো চুরি হওয়া অলঙ্কার বলে দাবি করেছে। অলঙ্কারগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গত ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে উপজেলার ধলঘাটে মন্দিরের গেইটের তালা ভেঙে এসব অলঙ্কার চুরি হয়। সেগুলো কালী প্রতিমার শরীরে পরানো ছিল; অলঙ্কারের ওজন আনুমানিক ৩৭ ভরি বলে দাবি করেছিলেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সাগর চক্রবর্তী।চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষে জানানো হয়েছে, উদ্ধার করা অলঙ্কারের মধ্যে চার ভরি পাঁচ আনা ওজনের স্বর্ণের তৈরি মাথার মুকুট, পাঁচ ভরি ১৪ আনা ওজনের রুপার তৈরি হাতের বালা, ১১ ভরি সাত আনা ওজনের রুপার তৈরি মাথার তাজ, নয়টি নেকলেস, তিনটি চুড়ি, একটি মুণ্ডমালা, দুটি কণ্ঠহার, তিনটি পলা ও কানের দুলসহ আরও কিছু ভাঙা অংশ রয়েছে।