নির্বাচন সামনে রেখে সরকারকে নির্যাতন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে নিপীড়নবিরোধী আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম ইউনাইটেড এগেইনস্ট টর্চার (ইউএটি)।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
জোটভুক্ত রেডরেসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে নির্বাচনের আগে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ২০২৪ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী ও মানবাধিকারকর্মীরা বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সংখ্যালঘুরাও নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় সহিংসতা বন্ধ ও মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চারে স্বাক্ষর করেছে ঢাকা। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন পাস হয়েছে। এ আইনের আওতায় নির্যাতনকে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চারকে (সিএটি) রিপোর্ট দিতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ।
জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থকদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী দমন-পীড়ন চালাচ্ছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর বিরোধী দলের বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ বারবারই টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ছুড়েছে এবং তাদের লাঠিপেটা করেছে। এতে শত শত বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হন।
নির্যাতনবিরোধী ছয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুদানে ইউএটি গড়ে উঠেছে। এ জোটের একটি সংগঠন হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল ফর টর্চার ভিকটিমস (আইআরসিটি)। আইআরসিটির মহাসচিব লিসা হেনরি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের কর্মীরা বলেছেন, সেখানে নিপীড়নের মাত্রা বেড়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিয়মিতই ক্ষুণ্ন হচ্ছে। নির্যাতনের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মানুষদের ন্যায়বিচার ও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে।