নেত্রকোণার দুর্গাপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় বিএনপির ৪ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাচারি মোড় থেকে ব্যানার নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহীদ বেদীতে যাওয়ার সময় এ সংঘর্ষ হয়।
ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইমাম হাসান আবু চাঁন, দুর্গাপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান ফরিদ, দুর্গাপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু ও যুবদল নেতা শাহ আলমকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, র্যালি নিয়ে ফুল দিতে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশেকে দেখে গালাগাল করতে থাকে এবং ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।
তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, সকাল ১০টায় র্যালি করার সময় পুলিশ ব্যানার নিতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলম ভূইয়া জানান, সকাল ১০টার দিকে আমরা উপজেলার কাচারি মোড় থেকে ব্যানার নিয়ে শহীদ বেদীতে ফুল দিতে চাইলে পুলিশ ব্যানার নিতে বাধা দেয়। পরে আমরা সেখান থেকে স্থান ত্যাগ করার সময় পুলিশ ছাত্রদল-যুবদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে ও গুলি ছোড়ে। এ সময় আমাদের চার নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় শিশির নামে এক ছাত্রদল কর্মী আহত হয়েছেন।
নেত্রকোণার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (মিডিয়া উইং) মো. লুৎফুর রহমান জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা র্যালি করে শহীদ বেদীতে যাওয়ার সময় পুলিশকে দেখেই অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও ইট-পাটকেল মারতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।