আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও গুজব ছড়িয়ে শনিবার রাতে দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও বিজিবি।
শনিবার রাতে দুই মুসল্লিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নামে। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট, যান চলাচল। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত পঞ্চগড় শহরের ওয়াকার শোরুমসহ দুটি দোকান ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট করে। ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয় তারা। একপর্যায়ে পঞ্চগড় জেলা শহরের প্রেসক্লাব সড়কে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পিছু হটে বিক্ষোভকারীরা।
পরে গুজব ঠেকাতে মাইকিং করা হয় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে। শনিবার রাত থেকে পুরো জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে সতর্ক আছে। গুজবের ঘটনায় পৌর যুবদল নেতা রাব্বিসহ (২৬) ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, গুজব ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আহমদিয়া মুসলিম জামা’তের বহিঃসম্পর্ক, গণসংযোগ ও প্রেস বিভাগের প্রধান আহমদ তবশির চৌধুরী বলেন, ‘আহমদনগর ও শালশিরি গ্রামে কয়েক হাজার আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বসবাস। আমরা এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি। একটি মহল গুজব ছড়িয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তি সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগ।