‘প্রধানন্ত্রীর নির্দেশ স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে ডিজিটাল লেনদেন হিসেবে ঢাকার পর ক্যাশলেস যুগে প্রবেশ করেছে দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এর মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগে প্রবেশ করেছে উত্তরের সীমান্তবর্তী এ জেলা।
এখন থেকে অনলাইনের মাধ্যেমে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে uniontax.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই সেবা পাচ্ছেন জেলার সাধারণ মানুষ। সেবাগ্রহীতারা ২০টি সেবা অতি সহজে অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারছেন। দুর্ভোগ ছাড়া সেবা পাওয়ায় খুশি জনসাধারণ।
অনলাইনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে নগদ ক্যাশ ছাড়াই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেবা দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের একজন উদ্যোক্তা বলেন, গত ১৯-২০ অর্থবছরে পরীক্ষামূলকভাবে তেতুঁলিয়া উপজেলায় অনলাইন সেবা চালু করা হলেও চলতি বছরের ৬ জানুয়ারী ক্যাশলেস সেবার উদ্বোধনের মাধ্যেমে প্রথমে তেতুঁলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নে সেবাটির কার্যক্রম শুরু হয়।
পর্যায়ক্রমে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নসহ পঞ্চগড়ের ৪৩টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভায় যুক্ত হয়েছে ক্যাশলেস সেবা।
এ সেবার মাধ্যেমে ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের আর্থিক কেলেংকারীর বদনাম ঘুচবে বলে মনে করছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।
তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, একসময় ইউনিয়ন পরিষদে এনালগ পদ্ধতিতে সেবা প্রদান করার ফলে সেবা গ্রহীতাদের সময় অপচয়ের পাশাপাশি খরচ বৃদ্ধির মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতেন। এখন থেকে সেবা গ্রহীতারা ডিজিটাল লেনদেনে ক্যাশলেসের মাধ্যমে ঘরে বসে সেবা পেয়ে যাচ্ছেন।
পঞ্চগড় জেলার জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল ইউনিয়ন ক্যাশলেস সেবা চালু করার পর ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সেবার মূল্য পরিশোধ করার ফলে সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক একাউন্টে রাজস্ব জমা হচ্ছে। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ আত্মসাতের কোন সুযোগই থাকছে না। এখন পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে এ সেবা গ্রহণ করেছেন প্রায় ৫৫ হাজার সেবাগ্রহীতা।
ক্যাশলেসের সেবার মাধ্যেমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও একধাপ এগুলো, বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।