‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা, এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো। দিব হৃদয়দোলায় দোলা।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানের কলির মতোই শনিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হৃদয়দোলায় দোলা দিতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম।
প্রধানমন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল তথা এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগরকে যুক্ত করে খুলে দেবেন দখিন দুয়ার। তিনি উদ্বোধন করবেন দক্ষিণ এশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত সুড়ঙ্গপথ ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’। যার মাধ্যমে যুক্ত হচ্ছেন কর্ণফুলী নদীর দুই পারের বাসিন্দারা। চট্টগ্রামে গড়ে উঠবে ওয়ান সিটি টু টাউন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) থেকেই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধু টানেল দেখতে সোয়া ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বরগুনা থেকে আনোয়ারা এসেছেন ৬০ বছর বয়সী হুমায়ুন কবির। একটি মিনি ট্রাকের ওপর কাঠের তৈরি নৌকা, মাইক এবং বৈঠা নিয়ে এসেছেন তিনি। গাড়িটি সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত রং-বেরঙের ব্যানারে। মাথায় লাল কাপড় বাঁধা। জনসভা সফল করতে মাইকিং করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। তার এই ব্যতিক্রমী প্রচার দেখতে হাটবাজারে উৎসুক জনতা তাকে ঘিরে ধরছেন।
প্রচারণায় তিনি পদ্মা সেতুসহ সরকারের গত ১৫ বছরের উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন। ভয়েস অফ এশিয়াকে তিনি জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রচার চালাতে তার ভালো লাগে। এর আগে পদ্মা সেতু উদ্বোধনেও তিনি গিয়েছিলেন। এখন ইতিহাসের সাক্ষী হতে তিনি চট্টগ্রাম এসেছেন।
সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা গেছে, নেতা-কর্মীদের পদচারণে মুখর। আশপাশের উপজেলা থেকেও উৎসুক জনতা সমাবেশস্থল দেখতে এসেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ভয়েস অফ এশিয়াকে বলেন, শাহ আমানত সেতু দিয়ে আনোয়ারায় যেতে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট লাগত। এখন মাত্র ৩ মিনিটে পার হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামবাসীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিরল উপহার দিয়েছেন তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে চট্টগ্রামবাসী উদ্গ্রীব।
টানেল প্রকল্পের পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন শুধু আমরা উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের টানেলের দ্বার খুলে দেবেন।