চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে রিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের আদর্শ গ্রাম দুয়ারী পাড়াস্থ (আপু মিয়ার চা-দোকান সংলগ্ন) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. কোরবান আলী বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হাকীম আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক জমির উদ্দীন প্রকাশ কালু উপজেলার পূর্ব শীলকূপ এলাকার প্রয়াত সাবেক ইউপি সদস্য জাকের আহমদের ছেলে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শীলকূপ আদর্শগ্রামের মুনশী মিয়ার ছেলে আবু সৈয়্যদ (৫০), একই এলাকার মীর হোসাইন (৩৫)। দুজনেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধায় শীলকূপ ইউনিয়নের আদর্শ গ্রাম দুয়ারী পাড়াস্থ (আপু মিয়ার চা-দোকান সংলগ্ন) এলাকায় আবু সৈয়দের সাথে জসীম উদ্দিন প্রকাশ কালুর মধ্যে গাজা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে কথা হয়। একপর্যায়ে মো. জসীম উদ্দিন প্রকাশ কালু পাশের রিকশাচালককে ‘এই রিকশা চল, আমি চলে যাবো’— এমনটি বলে। এ সময় রিকশাচালক কোরবান আলী প্রতি উত্তরে বলেন, ‘আমার আরেকজন যাত্রী আছে, তিনি আসলে একসাথে যাবো।’ এ কথা বলতেই দা নিয়ে রিকশাচালককে এলোপাথাড়ি কোপ মারেন কালু। এতে তার গর্দান, পায়ের উরু ও মাথায় গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় অপর দুজনও তার দায়ের কোপে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেকে) প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কায়েস সরওয়ার সুমন বলেন, সন্ধ্যার দিকে আদর্শ গ্রাম দুয়ারী পাড়াস্থ (আপু মিয়ার চা-দোকান সংলগ্ন) এলাকায় কোন কারণ ছাড়াই পথচারীদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায় জমির। আমাদের ধারণা সে মাদকসাক্ত ছিল। এ দিকে এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত ৪ জনকে প্রথমে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) এ নিয়ে গেলে সেখানেই কোরবান আলীর মৃত্যু হয়। এদিকে বাকি আহতদের অবস্থাও আশংকাজনক। তবে আহত দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক বলেন, অভিযুক্ত জমির উদ্দীন প্রকাশ কালুকে আটক করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা স্বাভাবিক মনে হলো। আগেও পুলিশের উপর হামলা করেছিল সে। বর্তমানে তাকে থানায় রাখা হয়েছে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের পর হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।