ঢাকা, শনিবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের অবস্থা ছিল আরেক গাজার মতো: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি- সংগৃহীত

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

শেখ হাসিনার ১৭ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে। ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন স্বৈরাচার হাসিনা। তবে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে দেশকে রেখে গেছেন ধ্বংসস্তুপ করে। ভারতে বসেও তিনি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।

এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

হাসিনার শাসনামল সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‌হাসিনার শাসনে কোনো সরকার ছিলো না, এটা ছিলো একটা দস্যু পরিবার। বসের পক্ষ থেকে যেকোনো আদেশ এলেই কার্যকর হয়ে যেতো।

আরও পড়ুন  ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

হাসিনার শাসনামলের প্রকৃতি বর্ণনায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, কেউ সমস্যা করছে? তাদেরকে গুম করে দেবো। নির্বাচন আয়োজন করতে চান? সব আসনে আপনার বিজয় নিশ্চিত করবো। আপনি টাকা চান? ব্যাংক থেকে লাখ লাখ ডলার ঋণ নিন, শোধ করতে হবে না।

ড. ইউনূস বলেছেন, সরকারের সক্রিয় অংশগ্রহণে ব্যাংকগুলো থেকে জনগণের অর্থ লুট করার পরিপূর্ণ লাইসেন্স দেয়া হয়েছিলো। কর্মকর্তাদের বন্দুক দিয়ে পাঠিয়ে সবকিছু সই করিয়ে নিতো।

আরও পড়ুন  জলাবদ্ধতা ইস্যুতে তোলপাড় চসিকের সাধারণ সভা

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি যে ক্ষতি করেছেন তা ছিল ভয়াবহ। এটি ছিল আরেকটি গাজার মতো। পুরোপুরি বিধ্বস্ত একটি দেশ। তবে এখানে ভবন নয় বরং ধ্বংস হয়েছে সব প্রতিষ্ঠান, নৈতিকতা, জনগণ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং এতে দেশ অস্থিতিশীল হচ্ছে বলে মনে করেন ড. ইউনূস।

আরও পড়ুন  আরটিভির অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

তিনি বলেছেন, ভারত তাকে আশ্রয় দিচ্ছে, এটা মানা যায়। আমরা যা যা করছি, ভারতকে ব্যবহার করে তা নষ্ট করার প্রচারণা চালাতে দেওয়াটা বিপজ্জনক। এটি দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে।