ঢাকা-চট্টগ্রামের পর দেশের অন্যতম স্থলবন্দর বেনাপোলে ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট) সুবিধা চালু হয়েছে। এর ফলে ই-পাসপোর্টধারীরা লাইনে না দাঁড়িয়ে নিজেই ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। সার্ভার ঠিক থাকলে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড।
শনিবার (৪ মার্চ) যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে ই-গেট উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
জার্মানির সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ই-পাসপোর্ট সুবিধা। একই প্রকল্পের অংশ হিসেবে বেনাপোলে ৪টি ই-গেট বসানো হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার ই-পাসপোর্ট ও ই-গেটের মাধ্যমে আধুনিক ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে দ্রুত ও নিরাপদ ইমিগ্রেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সব সদস্য প্রধানমন্ত্রীর এ সুদুরপ্রসরী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেস্ট থাকবে।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে দেশের ২২টি ইমিগ্রেশনে ই-গেট চালু করা হবে। ই-গেট ব্যবহারের প্রথম ধাপে প্রবেশ পথে যাত্রী নিজের ছবি, তথ্য ও বারকোডযুক্ত ই-পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠা স্ক্যান করবেন। তখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যাত্রীর সব তথ্য যাচাই শেষে খুলে যাবে প্রথম গেইট। এরপর দ্বিতীয় ধাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরাযুক্ত ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে যাত্রীর মুখমন্ডল মিললে খুলে যাবে দ্বিতীয় গেইট। সার্ভার এবং সিষ্টেম ঠিক থাকলে মাত্র ৩০-৪০ সেকেন্ডেই শেষ হবে একজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া। বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এ সুবিধা পাবেন।
ই-গেট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহম্মেদ, স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
ই-গেট উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেনাপোলে অনুষ্ঠিত এক মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে যোগ দেন। পরে তিনি সাড়ে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল উদ্বোধন করেন।