ঢাকা, শুক্রবার - ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মাদক-জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

ছবিঃ সংগৃহীত

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মসজিদের বয়ানের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ইমামদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে যাতে আমাদের সন্তানরা না জড়ায়, এজন্য আপনারা এসবের কুফল তুলে ধরবেন। আমরা চাই, আমাদের সন্তানরা যেন ইসলামের সঠিক শিক্ষা পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, এদেশে প্রত্যেক মানুষ যেন নিরাপদে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে। এটাই ইসলামের শিক্ষা। আমরা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করছি, ইসলাম ধর্ম যাতে আরও উন্নতভাবে পালন করতে পারে। ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা যাতে পায়। ইসলামের মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার যাতে ঘটে।

আরও পড়ুন  চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত-দাম এবং ওজন, না মানলে জেল-জরিমানা

এ সময় আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬৪টির মধ্যে ১০০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হলো। এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ তৃতীয় ধাপে আরও ৫০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদগুলোতে ওজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। এ ছাড়া হাজীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, মরদেহ দাফনের আগের প্রস্তুতি, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মেলন কক্ষ ও থাকবে। ইসলামিক দাওয়াত, ইসলামী বই বিক্রয় কেন্দ্র এবং দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে।

আরও পড়ুন  সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য দেন।

কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম, রাজশাহী ও শরীয়তপুর থেকেও কর্মসূচিতে ভাচুয়ালি যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ।

অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শেখ হাসিনা সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন।

আরও পড়ুন  সমাবেশ করার মৌখিক অনুমতি পেল জামায়াত ইসলামী

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ইসলামী ভ্রাতৃত্ব এবং এর মূল্যবোধের প্রচার এবং সেইসঙ্গে চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের সারমর্ম প্রচার করা কারণ ধর্ম কখনোই এগুলোকে সমর্থন করে না। এটি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতেও মনোনিবেশ করবে।

এ ক্যাটাগরির অধীনে, ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ফ্লোর স্পেস ২,৩৬০.০৯ বর্গমিটার বিশিষ্ট প্রায় ৬৯টি চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।

বি ক্যাটাগরির অধীনে, প্রতিটি ১৬৮০.১৪ বর্গ মিটার ফ্লোর স্পেসসহ ৪৭৫টি মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সি ক্যাটাগরির অধীনে ১৬টি মসজিদের প্রতিটি ২,০৫২.১২ বর্গ মিটার মেঝে থাকবে।

ট্যাগঃ

আলোচিত সংবাদ