ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ির বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদটি কল্পনাপ্রসূত উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এই সংবাদ প্রকাশের পর মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট দুদককে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে ছড়ানো তথ্যও মিথ্যা বলে দাবি করেছে ঢাকা ওয়াসা।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পক্ষে ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, কল্পনাপ্রসূত এবং ভিত্তিহীন ধারণায় করা। বাস্তবতার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। প্রতিবেদনে উল্লেখিত ঠিকানায় এ রকম কোনো বাড়ির মালিকানা ঢাকা ওয়াসার এমডির নেই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এজাতীয় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন করিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা এজাতীয় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদ প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী (ঢাকা ওয়াসার প্যানেল আইনজীবী) সৈয়দ মাহসিব হোসেন মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি এম নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চান, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে দুদককে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা। জবাবে জানানো হয়, দুদককে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ ধরনের গুজবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
গত ৯ জানুয়ারি একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হাইকোর্টের নজরে আনলে বিষয়টির তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে দুদককে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে তথ্য ছড়ানো হয়। এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দুদককে সুপ্রিম কোর্ট দেননি বলে জানা গেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি রয়েছে। এসব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে।