যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ অক্টোবর) দেশটির মেইন অঙ্গরাজ্যের লিউইস্টনে একাধিক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, একটি বার ও ওয়ালমার্টের ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থানে চালানো এ বন্দুক হামলার ঘটনায় ৫০-৬০ জন গুলিবিদ্ধ বা আহত হয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয় পুলিশ দপ্তর জানায়, এখনও সন্দেহভাজন একজন হামলাকারী পলাতক রয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গণমাধ্যমের খবরে অসমর্থিত সূত্রে বলা হয়েছে যে, এ হামলার সঙ্গে অন্তত দুজন জড়িত।
হামলাকারীকে ধরতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে তদন্তের কাজ চলাকালীন সেখানকার দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। এদিকে স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখছে মেইন অঙ্গরাজ্যের পুলিশও।
পৃথক এক ফেসবুক পোস্টে তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, অনুগ্রহ করে বাড়ির ভেতরে অবস্থান করুন। সন্দেহজনক কার্যকলাপ কিংবা এ ধরনের কাউকে চোখে পড়লেই অনুগ্রহ করে ৯১১-এ (জরুরি সেবা নম্বর বা হটলাইন) জানিয়ে দিন।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের বোস্টন কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মেইন অঙ্গরাজ্যের লিউইস্টনে হামলার তদন্তে যেকোনো সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।
এদিকে লিউইস্টন পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে দ্য সান জার্নাল তিনটি পৃথক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বন্দুক হামলা হওয়ার খবর দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে- স্পেয়ারটাইম রিক্রিয়েশন, স্কিমেনজিস বার অ্যান্ড গ্রিল রেস্তোরাঁ এবং ওয়ালমার্টের একটি বিতরণ কেন্দ্র।
ওয়াশিংটনে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই বন্দুক হামলার বিষয়ে জানানো হয়েছে। তিনি এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এছাড়া মেইন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জ্যানেট মিলস এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাকেও এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।