চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং দুই দিনের সফরে আজ (সোমবার) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গেছেন।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চীনা নেতার আনুষ্ঠানিক বৈঠকের কথা রয়েছে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এটিই চিন পিংয়ের প্রথম রাশিয়া সফর। বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তার এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার তিন দিন পর জিন পিং মস্কোয় গেলেন।
বেইজিং তার এই সফরকে ‘বন্ধুত্ব ও শান্তির জন্য’ বলে উল্লেখ করেছে। আর রাশিয়া বলেছে, দুই নেতা গভীর অংশীদারি এবং কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের অবসান টানতে গত মাসে বেইজিং ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ইউক্রেনের সমর্থক পশ্চিমা দেশগুলো বিষয়টিকে খুব আশাব্যঞ্জক মনে করছে না। কারণ, তারা বেইজিংকে রাশিয়ার মিত্র হিসেবে গণ্য করে।
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, রাশিয়াকে এই যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে চীন। তবে বেইজিং এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা এ যুদ্ধে কোনো অস্ত্র দেয়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ করছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাব বাড়াতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে চীন। এরই অংশ হিসেবে শি জিন পিং মস্কো গিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাশিয়া সফরে ইউক্রেনের সংকট সমাধানের লক্ষ্যে বেইজিংয়ের দেয়া নির্ধারিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। শি জিন পিংয়ের সফরের আগে চীনের সংবাদপত্রের জন্য লেখা এক নিবন্ধে ভ্লাদিমির পুতিন মন্তব্য করেছেন, মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠক নিয়ে অনেক আশাবাদী।