ঢাকা, শনিবার - ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আলোচিত সংবাদ

রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

ছবিঃ সংগৃহীত

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটছে। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দিয়েছে।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়।

মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চপ্পুকে মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন।

আরও পড়ুন  মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে বিস্মিত জামায়াত

তিনি আরও জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সভায় দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। সাহাবুদ্দিন বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। এটি মোটামুটি নিশ্চিত।

রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই ১৩ ফেব্রুয়ারি। প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রুয়ারি। সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। অবশ্য রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী হলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। সেক্ষেত্রে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনেই একক প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন  হাটহাজারীতে আ.লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে বিএনপির ৩ নেতাকে বহিস্কার

সংবিধান অনুয়াযী, রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

আরও পড়ুন  বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, কক্সবাজারে সতর্ক সংকেত

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে \কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ট্যাগঃ

আলোচিত সংবাদ