২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে ফুল দিতে ওঠেন পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্যবন্দরের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. মাসুদ সিকদার। এ সময় বাধা দিলে তিনি বলেন, ফুল দিয়েই তো নেমে যাব, এতে সমস্যা কী?
অবশ্য পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলমের বাধার মুখে এবং স্থানীয়দের রোষানলে পড়ে একপর্যায়ে জুতা খুলতে বাধ্য হন ওই কর্মকর্তা।
রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চত্বরে শহীদ ম্যুরালে ফুল দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, শহীদের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার জন্য সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় তাকে (মাসুদ সিকদার) থামিয়ে দিয়েছি। পরে তিনি জুতা খুলে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা অনেকেই।
পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এত বড় একজন কর্মকর্তা হয়ে কীভাবে শতাধিক মানুষের মাঝে জুতা পায়ে দিয়ে এখানে উঠলেন? তার মতো একজন বড় অফিসার দ্বারা এটা আশা করিনি। তার ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা উচিত।
এ ঘটনায় বিএফডিসি মৎস্যবন্দরের ওই কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার এমএ খালেক।পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদ ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানানোর সময় বিএফডিসি কর্মকর্তা কীভাবে জুতা পায়ে উঠলেন, এটা আপনার মাধ্যমে জানতে চাই। সে যে কাজ করেছে, তার জন্য সবার সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।
জানতে চাইলে দুঃখ প্রকাশ করে পাথরঘাটা বিএফডিসি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. মাসুদ সিকদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি মর্মাহত। ঘটনাটি ভুলবশত হয়েছে।