লক্ষ্মীপুরের বিয়ের ৫ মাসের মাথায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হারুনুর রশিদ হারুন (৩২) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর রাতে রায়পুরে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের মাইচ্ছাখালি ব্রিজ এলাকার শ্বশুর বাড়ি পাশের বাগান থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হারুন সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ বাজার এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় কসাই।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের শ্বাশুড়ি খুকি বেগম ও স্ত্রী বৈশাখী বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হারুনের শ্বশুর মনছুর আহমেদ ও ভায়রাভাই জুয়েল ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে।
হারুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার বাবা আবদুল মান্নান, মা কহিনুর বেগম, ভাই রিয়াজ হোসেন ও বোন জোৎস্না বেগম।
হারুনের পরিবারের লোকজন জানায়, প্রায় ৫ মাস আগে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের মনছুর আহমেদের মেয়ে বৈশাখীর সঙ্গে হারুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পরই জানা যায় বৈশাখীর অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম রয়েছে। বৈশাখীও নিয়মিত ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলতো। এনিয়ে হারুন ও বৈশাখীর মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হত। এসব কারণে কয়েকদিন আগে বৈশাখী তাদের বাড়িতে চলে যায়। সোমবার রাতে হারুনকে বৈশাখীর বোনজামাই শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে বাড়ির পাশের বাগানে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছেন হারুনের পরিবার।
হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) মফিজ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের কপালে জখম রয়েছে। শশুর বাড়ির লোকজন জানিয়েছে হারুন নিজেই বরই গাছের সঙ্গে আঘাত করে কপালে জখম করে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।