বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে মারা গেছেন তরুণ সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিটে কর্মরত এই সাংবাদিকের লাশ এখনও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে রয়েছে। কারণ, তার পারিবারিক পরিচয় নিয়ে ইতোমধ্যে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।
মো. সাবলিল আলম সবুজ নামে এক ব্যক্তি অভিশ্রুতির নাম বৃষ্টি খাতুন উল্লেখ করে তার পিতৃত্বের দাবি করছেন।
তিনি বলেন, অভিশ্রুতি তার মেয়ে। তার অফিসিয়াল নাম বৃষ্টি খাতুন, তবে সে অভিশ্রুতি হিসেবে পরিচিত। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তবে বৃষ্টি পড়াশুনার জন্য রাজধানীর মৌচাকে একটি মেস বাড়িতে থাকেন। আর তিনি আগারগাঁওয়ের একটি ব্যাচেলর বাড়িতে থাকেন।
তবে সবুজের দাবি খতিয়ে দেখার আগ পর্যন্ত তার কাছে লাশ হস্তান্তর না করার দাবি জানিয়েছেন রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা।
তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি তার বাড়ি ভারতের বেনারসে। তার মা-বাবা দুইজনই মৃত। সে দত্তক হিসেবে বাংলাদেশে একটি মুসলিম পরিবারে ছিল। তবে সে সনাতন ধর্মের অনুসারী। দত্তক পিতামাতার নামেই সে পড়াশোনা করেছে। তার জন্মসনদ ও সার্টিফিকেটে ওই বাবা-মায়ের নামই রয়েছে।
সবুজ সম্পর্কে তিনি বলেন, হয়তো এই লোক কোনো সুবিধা ভোগের জন্য অভিশ্রুতিকে তার মেয়ে হিসেবে দাবি করছেন। যেহেতু মৃতদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক অনুদান রয়েছে। তিনি সেই সুবিধা নিতে চাচ্ছেন।
বৃষ্টি খাতুন নাম সম্পর্কে রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি বলেন, সে যেখানে চাকরি করতো সেখানে অভিশ্রুতি হিসেবে পরিচিত ছিল। তার বায়োডাটাতেও অভিশ্রুতি নাম উল্লেখ ছিল। তার বাবা মা বেনারসের বাসিন্দা ছিল এবং তারা হিন্দু ছিল। আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত হতে চাই। আমরা ৭ থেকে ৮ মাস তাকে চিনি। সে নিয়মিত আমাদের মন্দিরে আসত, মন্দিরের প্রোগ্রাম সে কাভার করেছে। বিভিন্ন কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকত।
এদিকে অভিশ্রুতির সৎকারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রমনা কালী মন্দির কর্তৃপক্ষ। অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগে অধ্যয়নরত ছিলেন। পাশাপাশি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি।
এর আগে, সকালে অভিশ্রুতির মরদেহটি শনাক্ত করেন তার সাবেক কর্মস্থলের প্রধান প্রতিবেদক ও সহকর্মী গোলাম রাব্বানী।