দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া পরের তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বর্তমানে দিনের তাপমাত্রা ২২ থেকে ৩১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। আর রাতের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে। এতে করে তাপমাত্রা খুব বেশি একটা বাড়েনি। শহরের শীতের অনুভূতি কমলেও গ্রামে এখনও শীতের অনুভূতি বেশি।
তিনি জানান, জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে কোনও কোনও এলাকার তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। শ্রীমঙ্গল, পঞ্চগড় এবং তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে ব্যাপকভাবে তাপমাত্রা কমে গিয়ে আগের মতো তীব্র শীতের অনুভূতি আর আসবে না।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলে ১১.৮, রাজারহাটে ১২.৫, ডিমলায় ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৫, রাজশাহীতে ১৪.৩, রংপুরে ১৪.৬, ময়মনসিংহে ১৫.৭, সিলেটে ১৫.৮, চট্টগ্রামে ১৮.৮, খুলনায় ১৭.৫ এবং বরিশালে ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বাড়তি অংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
ঢাকায় শুক্রবার উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮%। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৪১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৪২ মিনিটে।