সারাদেশের সাত জেলা ও ১৫৯ উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আশা করছি বাংলাদেশের একটি উপজেলাও (গৃহহীনমুক্ত হওয়া) বাকি থাকবে না।
বুধবার (২২ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে দেশের ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে সরকারের নির্মিত ঘর হস্তান্তর করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। আমি খুবই আনন্দিত, আমরা চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান করতে পারছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারা অনেক আনন্দের।
প্রাকৃতিক কারণে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পাওয়া গেলে তাদেরও ঘর বানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান সরকারপ্রধান।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দলই ক্ষমতায় থাকলে মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই-দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে।
দেশজুড়ে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এদিন প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের শ্রীপুর, বরিশালের বানারীপাড়া এবং সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি দেশের ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেন।
অসহায়দের ঘর হস্তান্তরের ধারাবাহিকতায় গত বছর মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবনসহ বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের পদস্ত কর্মকর্তা এবং উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।