সরকারের সম্প্রচার, অনলাইন গণমাধ্যম এবং ক্যাবল নেটওয়ার্ক অপারেটিং নীতিমালা লঙ্ঘন করে কেউ কিছু করতে পারে না। যারা নীতিমালা লঙ্ঘন করছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং আমরা চিঠি দিয়েছি সারাদেশেই অবৈধ আইপি টিভির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে, বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২৮ জুন) চট্টগ্রামে এক মতিবনিময় সভায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
অবৈধ আইপি টিভির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে নাকি দু-একদিন পর আবার আগের মতোই চলবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করেছে। অন্যান্য জেলাতেও শুরু হয়েছে।
ইউটিউব চ্যানেল অবশ্যই যে কেউ চালাতে পারে, কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিয়ে চাঁদাবাজি করা এবং সেখানে কোনো নিউজ করতে গেলে এত টাকা দিতে হবে সেটি আবার চিঠি দিয়ে জানানো, রেট করে দেয়া, এগুলো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় জানান তথ্যমন্ত্রী।
এর আগে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সাথে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা সম্পর্কে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় এক কোটি মানুষের বাস। সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা পরিষদ, রেলওয়ে, বন্দরসহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে মেট্রোরেল ফিজিবিলিটি স্টাডির অগ্রগতি, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, জঙ্গল সলিমপুরকে অবৈধ বসতি ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় থেকে মুক্ত করা, গৃহহীনদের জন্য স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাপনাসহ জনগুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে লক্ষ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল। সেটির সাথে নির্মিত আউটার রিং রোড এত নান্দনিক এবং আকাশ থেকে দৃশ্যটি এত চমৎকার যে চট্টগ্রাম শহরটাই বদলে গেছে।
এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।