সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে আবারও হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকেই টানা মিছিল ও শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন।
এদিকে ভোটগ্রহণ থেকে বিরত থেকে নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হামলা বা মারামারির ঘটনা ঘটেনি। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা ‘সাদা-সাদা’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ করছেন। অন্যদিকে গ্যাংওয়ের নিচে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা ‘ভোট চোর’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
এর আগে সকালে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের আট বিচারপতির কাছে এ নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা। পরে বিএনপি থেকে সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচন বন্ধ করুন। গত বুধবার আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি প্রধান বিচারপতিকে। এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
একই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রসহ নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের আট বিচারপতিকে দিয়েছি। নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মুনসুরুল হক চৌধুরীর পদক্ষেপ সম্পর্কে জানিয়ে আমরা বলেছি সাব কমিটির প্রধান যদি পদত্যাগ করেই থাকেন, তাহলে নতুন করে সাব কমিটি গঠনের আগে ভোট করার সুযোগ নেই।
গত বুধবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু দুই পক্ষের হট্টগোলের কারণে ভোট হয়নি। এর মধ্যে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকসহ অনেক আইনজীবী আহত হন। তাদের মধ্যে নারী আইনজীবীও ছিলেন।