হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে নির্মম নির্যাতন করে বসতঘর ভাংচুর ও জবরদখলের চেষ্টা চালিয়েছে একদল দূর্বৃত্ত।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্যাতনের ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
নির্যাতনের শিকার মুক্তিযোদ্ধার নাম আহম্মদ হোসেন। তিনি ফোরক আহাম্মদ ও রবিজা খাতুনের ছেলে।
ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলম বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৫ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি দুই দফা নির্যাতনের শিকার হন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আহমেদ হোসেনের বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে। আমি তার বাড়ি গিয়েছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানা যাবে।স্থানীয়রা জানায়, মো. লোকমান নামে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আহমেদ হোসেন এমন বর্বরতার শিকার হন। দুবার হামলার শিকার হয় এ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেন বলেন, আমার বাড়ির সীমানার কিছু জায়গা প্রতিবেশী লোকমান নিজের বলে দাবি করে আসছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সে আমার বসতঘরের সামনে দেয়াল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় লোকমান ও তার ছেলেরা আমাকে ও আমার স্ত্রী মেয়েকে মারধর করে। আমরা ৯৯৯-এ কল করেছিলাম। পুলিশ এসে প্রথমে তাদের সরিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষণ পর লোকমান আবার এসে বলে, পুলিশ তাকে দেয়াল নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। আমরা আবার থানায় গেলে পুলিশ আর আমাদের কথা শুনেনি। আমাদের বলেছে, দুপক্ষকে নিয়ে বসে এর সমাধান করে দেবে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম ভয়েস অফ এশিয়াকে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ নিয়ে আমরা মর্মাহত। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে নিয়ে আমি আহমেদ হোসেনের বাড়ি গেছি। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।