দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা ‘পুনর্নির্ধারণ’ করে তা খসড়া আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নতুন প্রশাসনিক এলাকা (উপজেলা, ওয়ার্ড) সৃষ্টি হওয়ায় শুধু ছয়টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এসেছে। তবে তাতে কোনো আসনের বর্তমান সীমানার পরিবর্তন হয়নি। শুধু নতুন প্রশানিক এলাকার নাম যুক্ত হয়েছে।
সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনে প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনা করে ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং দেশের সর্বশেষ জনশুমারি যতটা সম্ভব বিবেচনায় নিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কথা বলা আছে।
তবে ইসি বলছে, সর্বশেষ জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেতে আরও বছরখানেক অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তার আগে করতে হবে আগামী সংসদ নির্বাচন। এ কারণে প্রশাসনিক সুবিধা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে গুরুত্ব দিয়ে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, গত জাতীয় নির্বাচনের আগে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তখন অন্তত ৬০টি আসনে জনসংখ্যার ভারসাম্য (জনসংখ্যার তারতম্য ২৫ শতাংশের চেয়ে বেশি বা কম) ছিল না। জনশুমারির খসড়া অনুযায়ী এবার ৭০টির বেশি আসনে এই ভারসাম্যহীনতা তৈরি হবে। আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ইসির ওপর একধরনের রাজনৈতিক চাপ থাকে। সেটি এবং সীমানা নিয়ে বিতর্ক এড়াতেই কমিশন মূলত আগের সীমানা বহাল রেখেই খসড়া প্রকাশ করেছে।
খসড়ায় যে ছয়টি আসনে সামান্য পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হলো ময়মনসিংহ-৪, মাদারীপুর-৩, সুনামগঞ্জ-১, সিলেট-১, সিলেট-৩ এবং কক্সবাজার-৩।
ইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এই খসড়া নিয়ে কোনো দাবি–আপত্তি থাকলে তা আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিতভাবে জানাতে পারবেন। শুনানির মাধ্যমে এসব দাবি–আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনিক বিভক্তি যেগুলো হয়েছে, সেখানে পুরোনো নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো পরিবর্তন হয়নি।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে, জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে আরও এক বছরের মতো সময় লাগবে। এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার সুযোগ নেই। ইসি জনশুমারির খসড়াকে আমলে নিয়েছে, তবে আইনে জনসংখ্যার বিষয়টি থাকলেও প্রশাসনিক সুবিধা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।