সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ‘বাংলা ব্লকেড’ এর আওতায় এবার ৬৪ জেলায় অবরোধ করবেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র যদি ফিরে আসে, সেক্ষেত্রে কোটা নিয়ে আবার ঝামেলা হতে পারে। তাই আমরা সরকার ও নিবার্হী বিভাগের কাছে সম্পূর্ণ সমাধান চাই। আমাদের বাংলা ব্লকেড কাল থেকে সারাদেশের ৬৪ জেলায় চলবে। কাল সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে। সড়ক ও রেলপথ এ অবরোধের আওতায় থাকবে।
সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সারাদেশের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাননের সামনে ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো অবরোধ করবেন।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, যদি সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে কমিশন গঠনের মাধ্যমে আমাদের দাবি মেনে নেয়, সেক্ষেত্রেই আমরা রাজপথ ছেড়ে ক্লাসরুমে ফিরে যাবো।
‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা কোটার বিরোধিতা করছি না। আমরা নূন্যতম মাত্রায় কোটার পক্ষে আন্দোলন করছি। আমরা সব কোটা মিলিয়ে ৫ শতাংশ কোটাকে যুক্তিযুক্ত মনে করি।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই আমাদের আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কি না সেটা নিয়ে আলোচনা করছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলছি যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান রাখি।
কোটা কাদের জন্যে হতে পারে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, কোটা প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্যে থাকতে পারে।