আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, অনেক টাকা ফি পেয়ে নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছি।
তিনি বলেন, তবে আগে বিষয়টি (আসামি তারেক রহমানের সাবেক এপিএস) জানলে এ মামলায় যুক্ত হতাম না।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এক জুনিয়র এ মামলায় আমাকে সিনিয়র নিয়োগ করেছিলেন। আমি সিনিয়র হিসেবে ব্রিফ করেছি। অনেক ফি পেয়েছি এ কারণে আসামির পক্ষে কয়েকদিন শুনানি করেছি। গত (সোমবার, ১৩ মার্চ) অনেক টাকা ফি পেয়েছি।
তিনি বলেন, মামলার রেকর্ডে (নথিপত্র) কোথাও লেখা নেই যে, আসামি (নুরউদ্দিন আহমেদ অপু) তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন। সিআইডি রিপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ নেই। এমনকি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানিতে কখনও বলেননি যে, নুরউদ্দিন আহমেদ অপু তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান, সবাই নাকি এখন বলছেন, আমি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। সরে দাঁড়ানোর প্রশ্ন এখানে আসবে কেন? গত সোমবার (১৩ মার্চ) পর্যন্ত আমি মামলায় শুনানি করেছি। আজকে আদেশের জন্য ছিল। আদেশের সময় আদালতে সিনিয়র থাকতে হবে- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সাধারণত মামলায় জুনিয়র যারা থাকেন, তারা আদালতের আদেশ রিসিভ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, মামলাটিতে আমি থাকবো নাকি বিষয়টি তখন ভেবে দেখবো।