তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে-বিদেশে ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখন আবার সক্রিয় হয়েছে। তারা বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে তাদের কোনো আশা নেই।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জিল্লুর রহমান পরিষদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করে আসন পেয়েছিল মাত্র ২৯টি। ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে তারা পালিয়ে গিয়েছিল। ডান-বাম, অতি ডান-অতি বাম, তালেবান সবাইকে একসঙ্গে করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মহিলা আসনসহ সিট পেয়েছিল সাতটি। ডক্টর কামাল হোসেনের মতো মানুষকে হায়ার করেছিল। হায়ারে খেলতে গিয়ে কামাল হোসেন সাহেব ভালো খেলতে পারেননি।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, তারা জানে আগামী নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে। এতে জনগণ শেখ হাসিনাকে আবার নির্বাচিত করবে, সেটা তারা বুঝতে পেরেছে। তারা যে জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করেছে, মানুষ পোড়ানো রাজনীতি ও অপরাজনীতি করেছে, সেজন্য মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেজন্য ওয়ান ইলেভেন কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়েছে।
দেশে গন্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে কেউ কেউ সক্রিয় হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিশেষ ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপিসহ সবাই মিলে সক্রিয় হয়েছে দেশে একটি গন্ডগোল লাগানোর জন্য, বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য। সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনও হতে দেবে না। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র করলে কোনো লাভ হবে না।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি এক এগারোর সময় দলকে যেভাবে গুছিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি আপসহীন রাজনীতিবিদ। একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ সমাজের চোখে। ১৯৭৯ সালে তিনি যখন কারাগার থেকে মুক্ত হন, তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ’এখন আমার কাজ দুই আওয়ামী লীগকে এক করা।’ তার মতো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। আমাদের নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে তার কাছ থেকে।
আলোচনা সভায় জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদসহ অনেকে।