ঢাকা, বুধবার - ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নওগাঁয় জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় ১১ র‌্যাব সদস্য প্রত্যাহার

ছবিঃ সংগৃহীত

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত ১১ র‌্যাব সদস্যকে মাঠের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এই ১১ জনের মধ্যে একজন মেজর, পুলিশের এএসপিসহ অন্যান্য সদস্য এবং গাড়িচালকও রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, জেসমিনকে আটকের সঙ্গে জড়িত র‌্যাব সদস্যদের ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ২২ মার্চ ওই অভিযানে যারা ছিলেন সেই ১১ জনকেই র‌্যাব-৫ এর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে।

আরও পড়ুন  মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে, এই বিজয় জনগণের: শেখ হাসিনা

র‌্যাবের মুখপাত্র আরও জানান, ওই ঘটনা তদন্তে র‌্যাব সদর দপ্তর গঠিত কমিটি এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছে। কমিটি এই অভিযানে যুক্ত প্রত্যেক র‌্যাব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে র‌্যাবের হাতে আটকের পর জেসমিনের মৃত্যু হলে নির্যাতনের অভিযোগ তোলে পরিবার। এ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র‌্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে।

আরও পড়ুন  ঈদের দিন বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি

আটকের চার ঘণ্টা পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র‌্যাব। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তার মৃত্যু হয়।

র‌্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। পরিবারের অভিযোগ, র‌্যাবের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে র‌্যাব বলছে, ৪৫ বছর বয়সী ওই নারীকে আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনায় হাইকোর্ট জেসমিনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব করেছে। র‌্যাবের কে কে জিজ্ঞাসাবাদে ছিল, তাও জানতে চেয়েছেন।

আরও পড়ুন  চলতি মাসের মধ্যে জিম্মি ২৩ নাবিককে ফিরিয়ে আনার আশা নৌ প্রতিমন্ত্রীর

জেসমিনকে আটকের পর তাকেসহ আরও এক যুবককে আসামি করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‍বৃহস্পতিবার বলেন, যখন তাকে (জেসমিন) ধরা হয় তখন তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের আগে তার মৃত্যু হয়েছে। এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো দোষ দেখছি না।

ট্যাগঃ

এ বিভাগের আরও

সর্বশেষ