পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নে প্রায় ৭০০ বছরের সুপ্রাচীন মন্দির শ্রী শ্রী বুড়া কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মন্দিরের পুরোহিত সাগর চক্রবর্তী জানান, শনিবার রাত আনুমানিক ৩টার পর তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে চোরেরা। তারা মন্দিরের দেবীর প্রায় ৪০ ভরিরও বেশি স্বর্ণালংকার সহ দান বাক্সের সমস্ত টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে হিন্দু ধর্মালম্বীদের তীর্থপীঠ হিসেবে পরিচিত এই মন্দিরে এমন চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয়রা। পটিয়া জন্মাষ্টমী পরিষদের আহব্বায়ক মাস্টার শ্যামল দে বলেন, ৭০০ বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ একটি মন্দিরে এমন চুরির ঘটনায় সনাতনী সমাজ মর্মাহত। প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই ঘটনার সমাধান প্রত্যাশা করেন তিনি সহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
পটিয়া উপজেলার ধলঘাটে তৎকালীন জমিদার রাজারাম দত্ত স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে এ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। জমিদার রাজারাম দত্ত স্বপ্নাদিষ্ট হন যে, দেবী নিম বৃক্ষে আছেন। ফলে স্বপ্নের সূত্রে ধরে তিনি একটি নিম বৃক্ষের কাঠ দিয়ে কালীর মূর্তি তৈরি করিয়ে উক্ত গ্রামে স্থাপন করেন। মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা বুড়াকালী নামে পরিচিতা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সুপ্রাচীন মন্দির শ্রী শ্রী বুড়া কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে ৩৭ ভরি স্বর্ণ ও ২০ হাজার টাকা চুরি কথা উল্লেখ করা হয়।
এদিকে পটিয়ার ধলঘাটে মন্দিরে চুরির ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন।
গতকাল ১৪ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭০০ বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ শ্রীশ্রী বুড়াকালী মন্দিরে এমন চুরির ঘটনায় সনাতনী সমাজ মর্মাহত। চুরির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তারা।