বান্দরবানের ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলিতে একজন নিহতের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় আতঙ্কে তারা দেশের মূল ভূখণ্ডে ছুটে আসছেন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গারা ওই এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন।
শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরের কিশোরী আসমা জানান, শিশুরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ভয়ে অনেকেই জিরো লাইন থেকে চলে যাচ্ছে। গোলাগুলির সময় আমাদের ঘর-বাড়ি পুড়ে গেছে। তাই সবাই এই এলাকা থেকে পালাচ্ছেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের পর থেকে তুমব্রুর শূন্যরেখায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার হাজার ২৮০ রোহিঙ্গা বসবাস করছিল। কিন্তু বিভিন্ন সময় হতাহতের ঘটনায় তাদের অনেকেই মূল ভূখণ্ডে ঢুকে গেছে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে গোলাগুলিতে নিহত হামিদ উল্লাহ’র লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে গুলিবিদ্ধ শিশুসহ আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির কোনারপাড়া এলাকার শূন্য রেখায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হামিদ উল্লাহ নামে একজন নিহত এবং আরও দুজন আহত হন। গুলিবিদ্ধ দুজনের শরীরে বিশেষ রঙের পোষাক দেখা যায়। তারা মিয়ানমারের কোন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।