বান্দরবানে কলাগাছের আঁশের সুতায় আকর্ষণীয় শাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলাবতী সুতি শাড়ি’। এর আগে বিভিন্ন জেলায় পরিত্যক্ত কলাগাছ থেকে তন্তু উৎপাদন হয়ে থাকলেও তন্তু থেকে শাড়ি উৎপাদন এই প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শাড়িটি মনিপুরী তাঁত শিল্পের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এতে কারিগরি সহযোগিতা করেছেন মৌলভীবাজারের রাধাবতী দেবী। তিনি বান্দরবানে এসে শাড়িটি বুনে দিয়েছেন।পাহাড়ি এলাকায় বিনা পরিচর্যায় জন্মানো কলাগাছ ফল সংগ্রহের পর কেটে ফেলে দেওয়া হতো বা পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হতো। এখন এতে পাহাড়ি জনপদে বসবাসকারীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে জেলার ৬৩টি গ্রামের ওপর সমীক্ষা করে কলাগাছের তন্তু উৎপাদন প্রকল্পের জন্য ৯টি পাড়া ও গ্রামকে নির্বাচন করা হয়। সে অনুযায়ী কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের দিকে। পরে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর তন্তু উৎপাদন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রচেষ্টায় গত ৩১ মার্চ কলাগাছের তন্তুকে রূপ দেওয়া হয় দৃষ্টিনন্দন শাড়িতে।বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বান্দরবানে কলাগাছের প্রাচুর্য রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য এনজিওদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় কলাগাছ থেকে ফাইবার তৈরির বিষয়টি আমার নজরে আসে। পরে পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে তন্তু তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন প্রচেষ্টায় সেই তন্তুকে শাড়িতে রূপান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে দেশের অন্য কোথাও কলাগাছের তন্তু থেকে শাড়ি উৎপাদিত হয়েছে কি না জানি না। যদি না হয়ে থাকে তাহলে দেশে প্রথমবারের মতো এ তন্তু থেকে শাড়ি উৎপাদন সম্পন্ন হলো।