ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাদরাসা শিক্ষক শরীফুল ইসলাম ভূইয়ার উপর হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাবকে জানান, মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যের কিছু অংশ গ্রহণযোগ্য মনে না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তার জিহ্বার একাংশ কেটে দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার এজাহারনামীয় আসামি বিজয়নগরের শ্রীপুর গ্রামের মৃত হালিম মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৪৮), একই এলাকার আমির আলীর ছেলে মাহবুবুল আল শিমুল (৩৩), চাওরা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সুমন এবং একই এলাকার মৃত শেবু মিয়ার ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম রিমন (২০)।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলায় র্যাব-৯-এর অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মমিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় বিজয়নগর উপজেলার দৌলতবাড়ি এলাকায় মাহফিলে বক্তব্য দেন মাওলানা শরিফুল ইসলাম। মাহফিল শেষে সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলস্টেশন এলাকায় এলে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তার ওপর হামলা চালানো হয়। সেইসঙ্গে তার জিহ্বার একাংশ কেটে দেন হামলাকারীরা। এ ঘটনায় ৫ মার্চ শরিফুলের চাচা মো. আব্দুল বাছির আখাউড়া থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উইং কমান্ডার মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানান, মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যের কিছু অংশ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তার ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামলা চালিয়ে বক্তার জিহ্বার একাংশ কেটে দেন তারা। গ্রেপ্তার আসামিদের আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।